هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ (1)
তোমার কাছে কি বিহবলকর ঘটনার সংবাদ পৌঁছেছে?
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ خَاشِعَةٌ (2)
সেইদিন অনেক মুখ হবে অবনত,
عَامِلَةٌ نَاصِبَةٌ (3)
পরিশ্রান্ত, অবসাদগ্রস্ত,
تَصْلَىٰ نَارًا حَامِيَةً (4)
প্রবেশমান হবে জ্বলন্ত আগুনে;
تُسْقَىٰ مِنْ عَيْنٍ آنِيَةٍ (5)
তাদের পান করানো হবে ফুটন্ত ফোয়ারা থেকে।
لَيْسَ لَهُمْ طَعَامٌ إِلَّا مِنْ ضَرِيعٍ (6)
তাদের জন্য বিষাক্ত কাঁটাগাছ থেকে ছাড়া অন্য কোনো খাদ্য থাকবে না,
لَا يُسْمِنُ وَلَا يُغْنِي مِنْ جُوعٍ (7)
তাদের নাদুসনুদুস বানাবে না এবং ক্ষুধাও মেটাবে না।
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَاعِمَةٌ (8)
সেইদিন অনেক মুখ হবে শান্ত,
لِسَعْيِهَا رَاضِيَةٌ (9)
তাদের প্রচেষ্টার জন্য পরিতৃপ্ত,
فِي جَنَّةٍ عَالِيَةٍ (10)
সমুচ্চ উদ্যানে,
لَا تَسْمَعُ فِيهَا لَاغِيَةً (11)
সেখানে তুমি শুনবে না কোনো বাজে কথা।
فِيهَا عَيْنٌ جَارِيَةٌ (12)
সেখানে রয়েছে বহমান ঝরনা,
فِيهَا سُرُرٌ مَرْفُوعَةٌ (13)
সেখানে আছে উঁচু সিংহাসন,
وَأَكْوَابٌ مَوْضُوعَةٌ (14)
আর পানপাত্রগুলো হাতের কাছে স্থাপিত,
وَنَمَارِقُ مَصْفُوفَةٌ (15)
আর তাকিয়াগুলো সারিসারি সাজানো,
وَزَرَابِيُّ مَبْثُوثَةٌ (16)
আর গালিচাসব বিছানো।
أَفَلَا يَنْظُرُونَ إِلَى الْإِبِلِ كَيْفَ خُلِقَتْ (17)
তারা কি তবে ভেবে দেখে না উটের দিকে -- কেমন করে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে,
وَإِلَى السَّمَاءِ كَيْفَ رُفِعَتْ (18)
আর আকাশের দিকে -- কেমন করে তাকে তোলে রাখা হয়েছে।
وَإِلَى الْجِبَالِ كَيْفَ نُصِبَتْ (19)
আর পাহাড়-পর্বতের দিকে -- কেমন করে তাদের স্থাপন করা হয়েছে,
وَإِلَى الْأَرْضِ كَيْفَ سُطِحَتْ (20)
আর এই পৃথিবীর দিকে -- কেমন করে তাকে প্রসারিত করা হয়েছে?
فَذَكِّرْ إِنَّمَا أَنْتَ مُذَكِّرٌ (21)
অতএব উপদেশ দিয়ে চলো, নিঃসন্দেহ তুমি তো একজন উপদেষ্টা।
لَسْتَ عَلَيْهِمْ بِمُصَيْطِرٍ (22)
তুমি তাদের উপরে আদৌ অধ্যক্ষ নও,
إِلَّا مَنْ تَوَلَّىٰ وَكَفَرَ (23)
কিন্ত যে কেউ ফিরে যায় ও অবিশ্বাস পোষণ করে --
فَيُعَذِّبُهُ اللَّهُ الْعَذَابَ الْأَكْبَرَ (24)
আল্লাহ্ তখন তাকে শাস্তি দেবেন কঠিনতম শাস্তিতে।
إِنَّ إِلَيْنَا إِيَابَهُمْ (25)
নিঃসন্দেহ আমাদের কাছেই তাদের প্রত্যাবর্তন,
ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا حِسَابَهُمْ (26)
অতঃপর আমাদের উপরেই তাদের হিসেব-নিকেশের ভার।