يُسَبِّحُ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ (1)
মহাকাশমন্ডলে যা-কিছু আছে ও যে কেউ আছে পৃথিবীতে তারা আল্লাহ্র মহিমা জপতপ করে, -- যিনি মহারাজাধিরাজ, পরম পবিত্র, মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِنْ كَانُوا مِنْ قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ (2)
তিনিই সেইজন যিনি নিরক্ষরদের মধ্যে, তাদেরই মধ্যে থেকে, একজন রসূল দাঁড় করিয়েছেন, তিনি তাদের কাছে পাঠ করছেন তাঁর নির্দেশাবলী, আর তিনি তাদের পবিত্র করেছেন, আর তিনি তাদের শিক্ষা দিয়েছেন ধর্মগ্রন্থ ও জ্ঞানবিজ্ঞান, যদিও এর আগে তারা তো ছিল স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে, --
وَآخَرِينَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوا بِهِمْ ۚ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ (3)
আর তাদের মধ্যে থেকে অন্যান্যদের যারা এখনও তাদের সঙ্গে যোগ দেয় নি। আর তিনি মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।
ذَٰلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ ۚ وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ (4)
এইটিই আল্লাহ্র অনুগ্রহ-প্রাচুর্য, -- এটি তিনি দান করেন যাকে তিনি ইচ্ছা করেন। আর আল্লাহ্ বিরাট করুণাভান্ডারের অধিকারী।
مَثَلُ الَّذِينَ حُمِّلُوا التَّوْرَاةَ ثُمَّ لَمْ يَحْمِلُوهَا كَمَثَلِ الْحِمَارِ يَحْمِلُ أَسْفَارًا ۚ بِئْسَ مَثَلُ الْقَوْمِ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِ اللَّهِ ۚ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ (5)
যাদের তওরাতের ভার দেওয়া হয়েছিল, তারপর তারা তা অনুসরণ করে নি, তাদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে গাধার মতো, যে গ্রন্থরাজির বোঝা বইছে। কত নিকৃষ্ট সে-জাতির দৃষ্টান্ত যারা আল্লাহ্র নির্দেশাবলী প্রত্যাখ্যান করে। আর আল্লাহ্ অন্যায়াচারী জাতিকে সৎপথে চালান না।
قُلْ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ هَادُوا إِنْ زَعَمْتُمْ أَنَّكُمْ أَوْلِيَاءُ لِلَّهِ مِنْ دُونِ النَّاسِ فَتَمَنَّوُا الْمَوْتَ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ (6)
বলো -- ''ওহে যারা ইহুদী মত পোষণ কর! যদি তোমরা মনে কর যে লোকজনকে বাদ দিয়ে তোমরাই আল্লাহ্র বন্ধুবান্ধব, তাহলে তোমরা মৃত্যু কামনা করো, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’’
وَلَا يَتَمَنَّوْنَهُ أَبَدًا بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيهِمْ ۚ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمِينَ (7)
কিন্ত তাদের নিজেদের হাত যা আগবাড়িয়েছে সেজন্য তারা কখনো তা কামনা করবে না। আর আল্লাহ্ অন্যায়াচারীদের সন্বন্ধে সম্যক জ্ঞাতা।
قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِي تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُ مُلَاقِيكُمْ ۖ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلَىٰ عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَيُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ (8)
বলো -- ''আলবৎ মৃত্যু, যা থেকে তোমরা পালাতে চাও, তা কিন্ত তোমাদের সাক্ষাৎ করবেই, তারপর তোমাদের পাঠানো হবে অদৃশ্যের ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতার কাছে, তখন তিনি তোমাদের জানিয়ে দেবেন কি তোমরা করতে।’’
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَىٰ ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ (9)
ওহে যারা ঈমান এনেছ! যখন জুমু'আর দিনে নামাযের জন্য আহ্বান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহ্র স্মরণে তাড়াতাড়ি করবে ও বেচা-কেনা বন্ধ রাখবে। এইটিই হচ্ছে তোমাদের জন্য শ্রেয়, যদি তোমরা জানতে।
فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانْتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِنْ فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ (10)
তারপর যখন নামায শেষ হয়ে যায় তখন তোমরা দেশে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহ্র করুণাভান্ডার থেকে অণ্বেষণ করো, আর আল্লাহ্কে প্রচুরভাবে স্মরণ করো, যাতে তোমাদের সফলতা প্রদান করা হয়।
وَإِذَا رَأَوْا تِجَارَةً أَوْ لَهْوًا انْفَضُّوا إِلَيْهَا وَتَرَكُوكَ قَائِمًا ۚ قُلْ مَا عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ مِنَ اللَّهْوِ وَمِنَ التِّجَارَةِ ۚ وَاللَّهُ خَيْرُ الرَّازِقِينَ (11)
কিন্ত যখন তারা পণ্যদ্রব্য অথবা ক্রীড়া-কৌতুক দেখতে পায় তখন তারা সেদিকে ভেঙ্গে পড়ে এবং তোমাকে দাঁড়ানো অবস্থায় ফেলে রাখে। তুমি বলো -- ''আল্লাহ্র কাছে যা রয়েছে তা ক্রীড়া-কৌতুকের চেয়ে ও ব্যবসা-বাণিজ্যের চেয়েও উত্তম! আর জীবিকাদাতাদের মধ্য আল্লাহ্ই সর্বশ্রেষ্ঠ।’’